Distributed Memory Model

Computer Science - প্যারালাল কম্পিউটার আর্কিটেকচার (Parallel Computer Architecture) Parallel Programming Models (Parallel Programming মডেল) |
118
118

Distributed Memory Model

Distributed Memory Model একটি কম্পিউটার আর্কিটেকচার যেখানে প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব লোকাল মেমরি থাকে, এবং প্রসেসরগুলির মধ্যে কোনো মেমরি সরাসরি ভাগাভাগি করা হয় না। এর ফলে, এক প্রসেসর থেকে অন্য প্রসেসরে ডেটা স্থানান্তরের জন্য একে অপরের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। এই মডেলটি সাধারণত ক্লাস্টার, সুপারকম্পিউটার, এবং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। এটি প্যারালাল প্রসেসিংয়ের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত, কারণ এতে প্রতিটি প্রসেসর নিজের কাজের জন্য আলাদা মেমরি ব্যবহার করে, যা ডেটা কনটেনশন এড়াতে সহায়ক।


Distributed Memory Model এর বৈশিষ্ট্য

  1. লোকাল মেমরি:
    • প্রতিটি প্রসেসর বা নোডের নিজস্ব মেমরি থাকে এবং এই মেমরির মাধ্যমে এটি কাজ সম্পন্ন করে। এক প্রসেসরের মেমরি অন্য প্রসেসর সরাসরি অ্যাক্সেস করতে পারে না।
  2. মেসেজ পাসিং (Message Passing):
    • বিভিন্ন প্রসেসর বা নোড একে অপরের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে মেসেজ পাসিং ব্যবহার করে। MPI (Message Passing Interface) হল এর একটি উদাহরণ, যা প্রসেসরের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে।
  3. স্কেলেবিলিটি:
    • Distributed Memory Model স্কেলেবল, যার ফলে এতে অনেকগুলো প্রসেসর যোগ করা যায়। প্রতিটি প্রসেসরের আলাদা মেমরি থাকায় স্কেলিং সমস্যা কম হয়।
  4. স্বতন্ত্র নোড:
    • প্রতিটি নোড নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রাম চালাতে পারে। এই ধরনের ডিজাইন মাল্টি-কম্পিউটার এবং ক্লাস্টার সিস্টেমে কার্যকর।
  5. স্বতন্ত্র মেমরি অ্যাক্সেস:
    • যেহেতু মেমরি একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করা হয় না, তাই প্রতিটি প্রসেসর তার নিজস্ব লোকাল মেমরিতে অ্যাক্সেস করতে পারে, যা প্রতিযোগিতা বা ডেটা কনটেনশন কমায়।

Distributed Memory Model এর সুবিধা

  1. উচ্চ স্কেলেবিলিটি:
    • Distributed Memory Model বড় ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমের জন্য স্কেলেবল, যার ফলে হাজার হাজার নোড যোগ করেও কার্যক্রম চালানো যায়।
  2. ডেটা নিরাপত্তা:
    • যেহেতু এক প্রসেসরের মেমরি অন্য প্রসেসর সরাসরি অ্যাক্সেস করতে পারে না, তাই ডেটা নিরাপত্তা বজায় থাকে।
  3. ডেটা কনটেনশন এড়ানো:
    • লোকাল মেমরি ব্যবহারের কারণে ডেটা কনটেনশনের ঝুঁকি কম থাকে, কারণ একাধিক প্রসেসর একই মেমরি অ্যাক্সেস করে না।
  4. উচ্চ কার্যক্ষমতা:
    • প্রতিটি প্রসেসরের মেমরি আলাদা থাকায় ডেটা অ্যাক্সেস দ্রুত হয় এবং এটি প্যারালাল প্রোগ্রামিংয়ের জন্য কার্যকর।

Distributed Memory Model এর অসুবিধা

  1. জটিল প্রোগ্রামিং:
    • মেসেজ পাসিং এবং ডেটা স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার কারণে প্রোগ্রামিং জটিল হয়। ডেটা স্থানান্তরের জন্য অতিরিক্ত কোড লিখতে হয়।
  2. উচ্চ লেটেন্সি:
    • এক প্রসেসর থেকে অন্য প্রসেসরে ডেটা স্থানান্তরের জন্য লেটেন্সি বেশি হয়, কারণ ডেটা সরাসরি শেয়ার করা যায় না।
  3. মেমরি ব্যবহারের অদক্ষতা:
    • প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব মেমরি থাকার কারণে, প্রায়ই মেমরির কিছু অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। এটি সিস্টেমের মেমরি ব্যবহারের দক্ষতা কমাতে পারে।
  4. ডেটা সমন্বয়ের প্রয়োজন:
    • ডিস্ট্রিবিউটেড মেমরিতে ডেটা একসাথে রাখতে মেসেজ পাসিং এবং ডেটা সমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে, যা প্রোগ্রামিং এবং সম্পদের ব্যবস্থাপনা আরও জটিল করে তোলে।

Distributed Memory Model এর উদাহরণ

  1. ক্লাস্টার কম্পিউটিং:
    • ক্লাস্টার কম্পিউটিংয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার বা নোড একত্রিত হয়ে কাজ করে, যেখানে প্রতিটি নোডের নিজস্ব মেমরি থাকে। এক নোড অন্য নোডের মেমরি সরাসরি অ্যাক্সেস করতে পারে না, বরং মেসেজ পাসিং প্রোটোকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
  2. সুপারকম্পিউটিং:
    • উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটারগুলোতে ডিস্ট্রিবিউটেড মেমরি মডেল ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোতে বড় বড় কাজ বিভিন্ন নোডে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং তারা সমান্তরালে কাজ সম্পন্ন করে।
  3. গবেষণা এবং সিমুলেশন:
    • জলবায়ু পরিবর্তন, পদার্থবিদ্যা, এবং রাসায়নিক সিমুলেশনের মত বড় ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ডিস্ট্রিবিউটেড মেমরি মডেল ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতিটি নোড নিজের মেমরি ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করে এবং মেসেজ পাসিংয়ের মাধ্যমে অন্য নোডের সাথে ডেটা শেয়ার করে।

Distributed Memory Model এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোটোকল

  • MPI (Message Passing Interface): এটি বিভিন্ন নোডের মধ্যে মেসেজ পাসিং এবং ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সায়েন্টিফিক কম্পিউটিং এবং প্যারালাল প্রোগ্রামিংয়ের জন্য প্রধানত ব্যবহৃত।
  • PVM (Parallel Virtual Machine): এটি বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন প্রসেসরের মধ্যে ডেটা শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সারসংক্ষেপ

Distributed Memory Model মাল্টি-প্রসেসর এবং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং সিস্টেমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্কিটেকচার, যা প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব মেমরি ব্যবহার করে কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এতে এক প্রসেসর থেকে অন্য প্রসেসরে সরাসরি মেমরি অ্যাক্সেস না থাকায় মেসেজ পাসিং প্রয়োজন হয়। এই মডেলটি বড় এবং স্কেলেবল সিস্টেমে কার্যকর, যেমন ক্লাস্টার কম্পিউটিং এবং সুপারকম্পিউটিং। Distributed Memory Model উচ্চ স্কেলেবিলিটি এবং নিরাপত্তা প্রদান করলেও, মেসেজ পাসিংয়ের কারণে প্রোগ্রামিং জটিল হয়ে পড়ে এবং লেটেন্সি বৃদ্ধি পেতে পারে।

Content added By
Promotion